পুলিশ চাইলেই মাদক নির্মূল সম্ভব
রংপুর: পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘পুলিশ চাইলেই মাদক নিমূর্ল করা সম্ভব। তবে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। অপরাধীদের সনাক্ত করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব।’
বিভাগের ৮ জেলায় বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
সেইসঙ্গে মাদকদ্রব্যের পাচার, চালান ও ব্যবসা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছেন ডিআইজি হুমায়ুন কবীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১১ পুলিশ সদস্যকে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পুলিশ সদস্যদের হাতে পদক তুলে দেন হুমায়ুন কবীর ।
পদক প্রাপ্তদের মধ্যে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভাররপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী ৪র্থ বারের মতো শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শকের পদক অর্জন করেন।
এছাড়াও শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ, গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ১০ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করায় গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মশিউর রহমান, শ্রেষ্ঠ সার্কেল এএসপি হিসেবে রংপুর ‘বি’ সার্কেলের এএসপি হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, শ্রেষ্ঠ ডিএসবি অফিসার হিসেবে পঞ্চগড় জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুর রহমান, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশ অফিসার হিসেবে রংপুরের পীরগাছা থানার এসআই আব্দুল মালেক শাহ, শ্রেষ্ঠ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই ফজলুর রহমান, চৌকস এসআই হিসেবে নীলফামারী জেলার সদর থানার এসআই আরমান আলী, শ্রেষ্ঠ কোর্ট অফিসার গাইবান্ধা সদর কোর্টের এএসআই শাহ আলম, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার নীলফামারীর সার্জেন্ট জ্যোর্তিময় রায় এবং চৌকস এএসআই হিসেবে রংপুর কোতোয়ালি থানার এএসআই আমিনুল ইসলামকে পদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।