নড়াইলের কালিয়ার পল্লীতে চার পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট,নারী ও শিশুরা খোলা আকাশের নীচে
গোবিন্দ কুন্ডু, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ার পল্লীতে ৪টি পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে (১১/৫/১৫) নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার মুলশ্রী গ্রামের জিল্লাল মোল্্যার বাড়িতে। সশস্ত্র সন্ত্রসীদের ভয়াবহ তান্ডবে পরিবার গুলোর ১১ টি বসতঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীদের অপতৎপরতার কারনে থানা কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্থরা নড়াইল পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিলে সোমবার ভোরের ওই নৃশংস হামলার ঘটনাটি জানাজানি হয়। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবার গুলোর নারী ও শিশুরা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। গ্রামজুড়ে চাপা আতংক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা ও এলাকাবাসী জানান,ওই গ্রামের জিল্লাল মোল্যার সাথে একই গ্রামের হোসেন সরদারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ পূর্ন ওই জমিতে জিল্লাল মোল্যা সহ তার ভাইদের বসত বাড়ি থাকার কারনে ঘটনারদিন ভোর ৬ টার দিকে পহরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক সশস্ত্র লোক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুদের বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দিয়ে জিল্লাল মোল্যা,বাবু মোল্যা,তৈয়ব মোল্যা ও বিল্লাল মোল্যার বসতঘর সহ ১১ টি ঘর সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় । পহরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান লাবু শিকদার জানান, জমাজমি নিয়ে পক্ষ পিক্ষের মধ্যে দীর্ঘ গোলমাল চলছিল তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু বড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা তিনি জানেন না বলে জানান। নড়াগাতি থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাদের জমাজমি নিয়ে বিরোধ ছিল. কিন্তু তা এমপি সাহেব তো মিটিয়ে দিয়েছেন। বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানানেই। তবে এধরনের কোন ঘটনা ঘটলে কোন অভিযোগ পাই তদন্ত সাপেক্ষে তার ব্যবস্থ নেওয়া হবে। নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেছেন,ঘটনাটি তদন্ত করে জরুরী ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।