দারোগা ফিরোজ এর গ্রেফতারী বানিজ্য শেষ॥ এখন পুলিশ লাইনে ক্লোজড

police_logo-311x186ঝর্না পারভীন : কথায় বলে না অন্যায় এর একটা শেষ আছে। এবার বাস্তবেও তাই হলো। এসআই ফিরোজ রাজবাড়ী জেলায় যে পরিমান অন্যায় করেছে তার প্রতিফলন ঘটলো মাত্র ২/৩ দিন আগে। দারোগা ফিরোজ বর্তমানে ক্লোজড রাজবাড়ী পুলিশ লাইনে। তার কাজই ছিল ভাল ভাল অসহায় নিরাপরাধ লোকদের ধরে বিভিন্ন মামলায় চালান দেওয়া বা ভয় দেখানো আর তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কোর্টে চালান দিতো। দারোগা ফিরোজ প্রায় দিনই দৌলতদিয়া পতিতালয়ে হামলা দিত এবং পতিতালয়ের ভিতর থেকে বিদেশী লোকদের ধরে এনে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিত এটাই ছিল তার ডিউটি। অযথা হয়রানীর মাধ্যমে টাকা উপার্যন ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। এসআই ফিরোজ পুলিশ লাইনে ক্লোজড হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকার হয়রানীর স্বীকার লোকজন মুখ খুলতে শুরু করেছে নিম্নে তার কিছু অপকর্মের কথা তুলে ধরা হলো- ফিরোজ দারোগা ৭/৮ বৎসর যাবৎ রাজবাড়ী জেলাতে চাকুরী করছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সাহেবের ভয় দেখিয়ে দাপোটের সাথে দারোগাগিরি করে যাচ্ছে। জানা যায় গত ৩০/০৪/১৫ইং তারিখে রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার আকস্মিকভাবে দৌলতদিয়া ঘাটে পরিদর্শনে আসেন এবং পেট্রোল ডিউটি পরিদর্শনে গেলে দায়িত্বরত এসআই ফিরোজ সহ পুলিশের একদল ফোর্সের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি বিভিন্ন অফিসিয়াল জিজ্ঞাসাবাদকালে সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ও নিরস্ত্র অবস্থা পেট্রোল ডিউটি করার দায়ে তাৎক্ষনিকভাবে এসআই ফিরোজকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। ফিরোজ দারোগার ক্লোজড হওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে গোয়ালন্দ সহ বিভিন্ন এলাকার হয়রানীর স্বীকার লোকজন মিষ্টি বিতরন করেছে বলেও জানা গেছে।  যারা ষড়যন্ত্রের শিকার এস আই ফিরোজের প্রতরনার জালে আবদ্ধ ছিলেন তারা হলেন সুমন ইসলাম (২৭) পিতাঃ গোলাম রসুল, সাং গোবজেল রোড, যশোর মামলা নং ১১ তারিখ ১৮/০৮/১৪ এই মামলায় ১৫/০৩/২০১৫ তারিখে  রাত সাড়ে ৯ টায় তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মালায় চালান করেন এবং তার কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ১৮/০৩/১৫ ইং তারিখে মোঃ মান্নান প্রামানিক পিতাঃ নাজিমদ্দিন সাং দেয়াবাজপুর, থানা পাবনা কে গ্রেফতার করে এর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। মোঃ মান্নান নিষিদ্ধপল্লীর খুশি বাড়ী ওয়ালীর বাড়ীর দারোয়ানের চাকুরী করেন এবং খুশির বাড়ী থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সমাজ কল্যাণ সঞ্চয় ও ঋণ দান সমিতি লি এর এনজিও থেকে টাকা তুলে ফিরোজ আহম্মদের চাহিদা মেটায় বলে জানা যায়, শ্রী অসীম ভৌমিক পিতাঃ শ্রী গুরুচরন ভৌমিক গ্রামঃ লাউতারা জেলাঃ মানিকগঞ্জ কে গ্রেফতার হয় রাত সাড়ে ৯ টায় এর কাছ থেকেও ফিরোজ আহম্মদ নগদ ২১ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। জানা যায় অসীম ভৌমিক নিষিদ্ধ পল্লীর আকরামের বাড়ীতে থেকে তাকে গ্রেফতার করে ১নং গলিতে নিয়ে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।  অসীম ভৌমিক পেশায় একজন মুদি দোকানদার। নিউজ লেখা পর্যšত সময়ে এসআই ফিরোজ আহম্মদ এর  মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইলে রিং হলেও তিনি ইচ্ছাকরে ফোনটি রিসিভ করেন নাই। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি একেএম নাসিরুল্লাহকে ফোন দেয়া হলে তিনি মুঠোফোনে জানান এ বিষয়ে তিনি কোন মšতব্য করবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *