ভূঞাপুরে অপহরনের ১০ দিনেও খোঁজ মেলেনি কুদ্দুছের : দুই মেয়েকে ধর্ষনের ঘটনায় প্রতিবাদ করেছিল সে
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালু উত্তোলনের ড্রেজারে হামলা ও পরে অপহরনের ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও আবদুল কুদ্দুছ (৪৫) নামের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় কুদ্দুছের ভাই ইদ্রিছ বাদী হয়ে ডাকাত মাতিনকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সংঘবদ্ধ এ ডাকাত দলটি যমুনা নদীতে প্রতিনিয়তই ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। যমুনা নদীতে নৌকার মধ্যে পিতাকে বেঁধে রেখে যে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল ওই ঘটনার প্রধান প্রতিবাদকারী ছিল কুদ্দুছ।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় মাধু মেম্বারের বালুর ঘাটে আরিফুল ইসলাম বাবুর বালু উত্তোলনের ড্রেজার পাহারা দিত কুদ্দুছ। গত ১ লা মে মধ্যরাতে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র সহকারে ড্রেজারে হামলা চালায় একদল ডাকাত। এসময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে আহত হয় ড্রেজার পাহারায় নিয়োজিত কুদ্দুছ। আহত অবস্থায় তাকে অপহরন করা হয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ মেলেনি। অপহরনের এ ঘটনার ৪ দিন পর ৪ঠা মে কুদ্দুছের ভাই ইদরিছ বাদী হয়ে ডাকাত মাতিনকে প্রধান আসামী করে আসাদুল, সাইদুল, রফিকুল, মনিরুল, জেলাল, নুরু, বজ মান্না, রাজ্জাক, ফরিদ ও আল-আমিনের নাম উল্লে¬খ করে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে মাতিনসহ আরো কয়েকজন ডাকাত স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাকের ড্রেজার পাহারা দিত। আসামীদের মধ্যে মাতিন, আসাদুল, সাইদুলের বাড়ি ভূঞাপুর, মনিরুল, জেলালের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় এবং নুরু, বজ মান্না, রাজ্জাক, ফরিদ ও আল-আমিনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায়। অপহরনের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও কুদ্দুছকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীরা সবাই কুখ্যাত ডাকাত। তারা যমুনা নদীতে প্রতিনিয়তই ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই তারা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করে।
একটি সূত্র জানায়, যমুনা নদীতে নৌকার মধ্যে পিতাকে বেঁধে রেখে যে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল ওই ঘটনার প্রধান প্রতিবাদকারী ছিল কুদ্দুছ। তার নেতৃত্বে ধর্ষকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল কয়েক হাজার জনতা। আর ওই হামলার ঘটনায় আবদুল কুদ্দুছের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ধর্ষনের ঘটনার মূল হোতা ডাকাত সর্দার আসাদুল ও তার দলবল। ধর্ষনের ওই ঘটনার প্রতিবাদের ৪ দিনের মাথায় কুদ্দুছকে অপহরনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কবির বলেন, কুদ্দুছকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।