কারখানার টয়লেটে শ্রমিকের সন্তান প্রসব, কর্তৃপক্ষকে তলব
ঢাকা: গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার একটি কারখানার টয়লেটে শ্রমিক হামিদা আক্তারের সন্তান প্রসবের খবরটি আমলেন নিয়েছেন হাইকোর্ট। তাকে কেন প্রসবকালীন ছুটি দেয়া হয়নি তা জানাতে সংশ্লিষ্ট কারখানার পরিচালকসহ তিনজনকে তলব করা হয়েছে।
আগামী ২৪ জুন কারখানার পরিচালকসহ তিনজনকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কারখানার সংশ্লিষ্ট তিনজকে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে টয়লেটে অন্তঃসত্ত্বার বাচ্চা প্রসব করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনায় জড়িত ও দায়ীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ওই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ২৪ মে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুলিপি দেখে এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সে বিষয়ে আগামী ২৪ জুন থানার ইউএনওকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার দুপুরে ছুটি না পেয়ে কারখানার টয়লেটের ভেতরে সন্তান প্রসব করেন এক শ্রমিক। প্রসবের পর মাকে বাঁচানো গেলেও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কারখানায়।
কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ওই কারখানার লাস্টিং সেকশনে কাজ করেন নারী শ্রমিক হামিদা আক্তার। তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় শনিবার দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি কারখানার লাস্টিং সেকশনের সুপারভাইজার মো. রতন মিয়ার কাছে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তাকে ছুটি না দিয়ে কাজে মনোযোগ দিতে বলেন ওই কর্মকর্তা। অবস্থার অবনতি হলে তিনি কারখানার ভেতরের একটি টয়লেটে যান। সেখানে যাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও বাচ্চা প্রসব করেন।
পরে তাকেসহ নবজাতককে উপজেলার সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন।
কারখানার পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, ছুটি না দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।