হাবিবুর পা ধরে আর আমি গলা কাটি

Jhenidah-meder11111ঝিনাইদহ: গুড়ের ব্যবসা করার জন্য আমি ও হাবিবুর চিন্তা করি কিভাবে টাকা ম্যানেজ করোন যায়। অনেক ভাবনের পর অপহরণের বিষয়ডা মাথায় আসে। হেরপর ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরনের সময় মিরাজকে ধরে লইয়া আসি। সেহান থেইক্যা ওই গ্রামের একটি বাড়িতে মিরাজকে আটকায় রাখি। হেরপর মোবাইলে হের বাবার কাছে ১ লাখ টাকা চাই। দিতে দেরি হওয়া ও পুলিশে জানা-জানি হইলে রাতে গ্রামের ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যাই। সেইহানে হাত-পা আর চোখ বাইন্ধা রাহি। পরে রাত ২ডার দিকে হাবিবুর পা ধরে আর আমি গলা কাটি।’

‘আমাগো সঙ্গে আরও ৩ জন ছিল। মিরাজ মারা যাওয়ার পর সেইহান থেইকা পালায় যায়।’

এমনই বর্ণনা দেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরা ডাঙ্গা গ্রামের কিশোর মিরাজুল ইসলাম (১১) হত্যা মামলার আসামি আতাহার হোসেন।

শনিবার রাতে আতাহার ও হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সামনে তাদের হাজির করা হয়।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মেদ কবীর জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুর জেলার টেকেরহাট এলাকা থেকে আতাহারকে ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা থেকে হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

আসামি আতাহার বাগেরহাট জেলার মড়েলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে  ও হাবিবুর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।

উল্লেখ্য, ভোমরা ডাঙ্গা গ্রামের মহর আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা জেলার বুজুরগড়গড়ি হাফেজি মাদরাসার ছাত্র মিরাজ ১৪ মার্চ শনিবার রাতে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসা মাঠের ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। পরে সে আর বাড়ি ফেরে না। পরদিন সকালে তাকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে মিরাজের পরিবার টাকা দিতে না পারায় ১৬ মার্চ সোমবার অপহরণকারীরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে লাশ ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করে নিহতের পরিবার। যার নং-৯, তারিখ-১৬/০৩/২০১৫ ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *