বাগেরহাটে মোবাইলে প্রেম, অতপর চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ : থানায় মামলা, ধর্ষক আটক
বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোবাইলের মিস কলের মাধ্যমে পরিচয়। তার পর ধিরে ধিরে গভীর পরিণয়। দারিদ্রতার সুযোগ বুঝে মংলা ইপিজেডে চাকুরির প্রলোভন। তাইতো সরল মনে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে তাকে হারাতে হয়েছে সম্ভ্রম। মংলায এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে মংলা থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে মংলার আবহাওয়া অফিসের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নারী নিজেই বাদি হয়ে আটক দুই যুবকের বিরুদ্ধে মংলা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে । মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী বেলায়েত হোসেন মুঠোফোনে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে । পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলো, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভরসাপুর এলাকার মো. শহিদ শেখের পুত্র মো ফয়সাল (২১) একই উপজেলার তুলশিরাবাদ এলাকার মৃত মজিদের পুত্র আ. রহিম (২৪)। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।
মংলা থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মাস তিনেক আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় রামপালের এক কিশোরীর ও একই এলাকার ফয়সালের সাথে। এ সময় কিশোরী তার সঠিক পরিচয় প্রকাশ করলেও, পরিচয় গোপন রাখে সু-চতুর ফয়সাল। এরমধ্যে ফোনে কথা হলেও, দেখা হয়নি তাদের। তাই প্রথম দেখা হবে সাথে মিলবে মংলা ইপিজেডে চাকরি । প্রতারক প্রেমিক ফয়সালের ফাঁদে পা দিয়ে সোমবার দুপুরে তিন মাসের আবেগ নিয়ে মংলায় চলে আসে সহজ সরল ওই কিশোরী।
পরে তুলিকে ফুসলিয়ে মংলার আবহাওয়া অফিস থেকে দুইশ গজ দূরে আম বাগানে নিয়ে যায় ফয়সাল। সেখানে ফয়সাল তুলিকে এক পর্যায়ে জোর করে ধর্ষণ করে। ভয় ভীতি দেয় এ ঘটনা কাউকে জানালে তার ক্ষতি হবে । এ সময় ফয়সালকে সহযোগিতা করে তার অপর বন্ধু রহিম । এক পর্যায়ে থানার টিএসআই উত্তম চ্যাটার্জি নিয়মিত টহল দেয়ার সময় ওই দুই যুবকের আচরণ সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে মেয়েটির স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে নির্যাতিতা নিজে বাদি হয়ে সোমবার রাতে নারি ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।