বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার হত্যাকারী গুলিবিদ্ধ
জয়পুরহাট: পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জয়পুরহাট জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন ওরফে লড়ো হত্যার প্রধান আসামি মোহন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তার অপর সহযোগি শান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার রাতে মোহনকে নিয়ে তার অপর সহযোগিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোহন গুলিবিদ্ধ হন। রাতেই তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার রাতে সন্ত্রাসী মোহনকে নিয়ে যুবদল নেতা লড়ো হত্যার সঙ্গে জড়িত তার অপর সহযোগিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় সদর উপজেলার পাঁচুরচক এলাকায় গেলে সেখানে ওঁত পেতে থাকা মোহনের সহযোগিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা মোহনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় সহযোগিদের গুলিতে মোহনের বাম পা গুলিবিদ্ধ হয়। রাতেই তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ওয়ানশুটার, কিছু কার্তুজ ও যুবদল নেতা লড়ো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে, রোববার দুপুরে জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি এলাকার পৌর কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন একটি ধান ক্ষেতে সন্ত্রাসীরা আফজাল হোসেন ওরফে লড়োকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর শহরের মুসলিম নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি লড়োকে খুন করার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে, রোববার রাতে নিহত লড়োর স্ত্রী পান্না আক্তার বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মোহন এবং তার সহযোগি শান্ত ও শুভ নামে তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।