রাজারবাগে পানির জন্য হাহাকার
ঢাকা : রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পাশেই কবি বে-নজির বাগানবাড়ী আবাসিক এলাকা। নামে আবাসিকএলাকা হলেও আবাসিক এলাকার যে সুবিধাগুলো থাকা দরকার তার অধিকাংশই অনুপস্থিত। আবাসিক এলাকার নামে বাড়িওয়ালারা বেশি বেশি ভাড়া আদায় করলেওভাড়াটিয়াদের পোহাতে হচ্ছে নানান দুর্ভোগ।
প্রায়এক বছরের বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছে না বে-নজির বাগানবাড়ীর (উত্তরশাহাজাহানপুর) বাসিন্দারা। এতে করে প্রায় ১৪০-১৫০টি পরিবার চরম দুর্ভোগেদিনাতিপাত করছে।
ভোগান্তিতে থাকাপরিবারগুলোর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে এলাকার কতিপয় বাড়িওয়ালা ও ওয়াসারকর্তৃপক্ষ ইঁদুর বিড়াল খেলছে। ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়াও নিতে পারছে না। আর এই সুযোগেই বার বার ভাড়া বৃদ্ধি করছে বাড়িওয়ালা।
জানাগেছে, কবি বে-নজির বাগানবাড়ী সমিতির প্রায় ৪৩টি অ্যাপার্টমেন্টের প্রায়১৫-১৬টি অ্যাপার্টমেন্টে ১ বছর ধরে ওয়াসার পানি রিজার্ভ ট্যাংক পর্যন্তপৌঁছায় না। শুধু ওয়াসার পানির গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
ভাড়াটিয়াদেরঅভিযোগ অনুসন্ধানে বেনজির বাগান আবাসিক এলাকার ১২০/২৩ বাসায় গিয়ে দেখাযায়, রান্না করার জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই তাদের। ফলে বাইরে থেকে খাবার পানিকিনে নিয়ে এসেছেন ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এব্যাপারেওই বাড়ির মালিক মোহাম্মাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাই আমিতো বাগানে থাকি না। আমি যখন বাড়ি তরি তখন থেকেই প্রায় ১৫-১৬টি বাড়িতে পানিরসমস্যা ছিল। সমিতির প্রথম সারির বাড়িগুলোর চেয়ে শেষের সারির বাড়িগুলোরপানির লাইন অনেক সরু। তাই ওয়াসার পানি সাপলাই করলেও প্রথম সারির বাড়িগুলোতাদের মেশিন দিয়ে রিজার্ভ ট্যাংকিতে ভরে নেয়। এতে করে শেষের সারির বাড়িগুলোপানি পায় না। সমিতির ভেতর পানির পাম্প বসানোর একটা উদ্যোগ নেয়া হলেও সবারআগ্রহ না থাকায় তা আর হচ্ছে না।
আবাসিকএলাকার ভাড়াটিয়া কামাল হোসেন জানান, বে-নজির বাগানবাড়ী এলাকার আশপাশে ভালোস্কুল কলেজ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীর বাবা মা বেশি ভাড়া হলেও এই এলাকায় কষ্টকরে থাকেন।
ছাবিহা খান নামের একজন গৃহবধূ জানান, গোসল তো দূরের কথা রান্না ও খাবারে পানি জোগাড় করতে ওয়াসার পানির গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
আরেক ভাড়াটিয়া সাগর চৌধুরী বলেন, সারাদিন অফিস করে এসে বাসায় গোসল করা বা হাতধোয়ার পানি পর্যন্ত থাকে না। বাড়িওয়ালা রিজার্ভ পানির ট্যাংক সারাদিনচালিয়ে রাখলেও একফোটাও পানি আসে না। কিন্তু মাস শেষে পানি তোলার কারেন্টবিল এবং ওয়াসার হাজার টাকার বেশি বিল হাতে ধরিয়ে দেন।