মহাকাব্যিক ইনিংস শেষে থামলেন তামিম

tamim double centuri 2.5খুলনা : অসাধারণ, দুর্দান্ত, নান্দনিক, দর্শনীয়, মহাকাব্যিক এক ডাবল সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তিনি টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন। এর আগে ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন।

২৬৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করার পথে ১৭টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন তামিম ইকবাল। প্রায় ৭ ঘণ্টা ক্রিজে থেকে দর্শনীয় সব শটে দর্শকদের মোহিত করে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই টাইগার ওপেনার। জুনায়েদ খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে বিশাল এক ছক্কা মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম।

ইনিংসের শুরুটা যেমন করলেন তামিম, ডাবল সেঞ্চুরিটাও তেমন আক্রমণাত্মকভাবে পূর্ণ করলেন তিনি। জুনায়েদ খানের যেই বলটিকে ছক্কা মেরে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেলন তিনি, সেটি অন্য ব্যাটসম্যান হলে যথেষ্ট সমীহ করেই খেলতেন।

তাছাড়া শচীন, লারার মতো ক্রিকেটাররা যেখানে নার্ভাস নাইনটিজে এসে ধীর হয়ে পড়েন সেখানে ১৮১ রান থেকে ২০১ এ পৌঁছতে তিনটি ছক্কা মারেন বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি ওপেনার। ২৭৮ বলে ২০৬ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস শেষে অবশেষে তামিমকে আউট করতে সক্ষম হলো পাকিস্তান। স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে দীর্ঘ প্রায় ৭ ঘণ্টার লড়াই শেষে মাঠ ছাড়েন এই বাঁ-হাতি ওপেনার।

ইনিংসের ৯৯তম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে ডাউন দ্য ট্রাকে এসে খেলতে যান তামিম। বলের ফ্লাইট মিস করেন তিনি। বল স্পিন করে তামিমকে ফাঁকি দিয়ে সরফরাজের হাতে জমা পড়ে। তামিম অবশ্য ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেন। তবে ব্যাট মাটি স্পর্শ করার আগেই স্ট্যাম্পিং করে দেন উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদ।

বাংলাদেশর পক্ষে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ (২০৬) রানের মালিক এখন তামিম ইকবাল। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০ রানেই থেমে যান। শনিবার মুশফিককে ছাড়িয়ে যান তামিম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *