ঝিনাইদহে জোড়াশিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিল আচল ট্রাস্ট

sisu-double99kkhhঝিনাইদহ প্রতিনিধি : গত ২৬ মার্চ যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয়া জোড়া লাগানো দুই মেয়ের মা হয়েছিলেন ঝিনাইদহের তাকিয়া সুলতানা লাবনী। এখন দুই শিশুসহ তাদের মা সুস্থ আছেন। তাদের মাথা, হাত ও পা পৃথক থাকলেও বুক থেকে পেট পর্যন্ত জোড়া লাগানো। মেয়ে দুটির নাম রাখা হয়েছে লাইবা ও লাবিবা। । মেয়ে দুটির ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।এদিকে শুক্রবার বিকালে জোড়া দুই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ঢাকাস্থ বেসরকারি সংস্থায় আচল ট্রাাষ্ট। শিশু দুটিকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ তাদের। শুক্রবার বিকেলে আচল ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম শোভন অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে যশোর ও যশোর থেকে বিমান যোগে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। সেখানে পূর্ণ চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের আলাদা করা হবে। যদি হাসপাতালে তাদের আলাদা করা সম্ভব না হয় তবে উন্নত কোন দেশে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। আচল ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম আরো জানান, হাসপাতালে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে সু-চিকিৎসা দেয়া হবে। এ পর্যন্ত আচল ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে অনেক শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করা সম্ভব হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লৌহজং গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে তাকিয়া সুলতানা লাবনীর সাথে যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙা গ্রামের আলতাফ হোসেনের বিয়ে হয়। লাবনীর স্বামী বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ২৬ মার্চ যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম দেন লাবনী। শিশু দুটির শরীরের মাথা, হাত ও পা পৃথক থাকলেও বুক থেকে পেট পর্যন্ত জোড়া লাগানো। জন্মের পর কয়েকদিন শিশু দুটিকে ইনকিউবেটরে রাখতে হয়েছিল। তারা খাওয়া, ঘুমানো, প্রসাব-পায়খানা পৃথকভাবে করছে। স্বাভাবিক ভাবে খাবার গ্রহণ করছে। হাসছে, কাঁদছে ও খেলছে। সুস্থ হওয়ার পর নানা বাড়ি আনা ঝিনাইদহের লৌহজং গ্রামে আনা হয়। সেখানে লাইবা ও লাবিবাকে দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আল্লাহ যা দিয়েছেন তা নিয়েই খুশি তিনি। এলাকাবাসী বলছেন- এমন ঘটনার কথা তারা টিভিতে দেখেছেন, লোকমুখে শুনেছেন। এবার বাস্তবে দেখলেন।
এবিষয়ে ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দুলাল কুমার চক্রবর্তী জানান, শিশু দুটির হৃদপিন্ড পৃথক হলে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *