লোহাগড়ায় নতুন ধানের ম ম গন্ধে মাতোয়ারা কৃষকলক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ

Output file SS 20কাজী আশরাফ,লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ায় নতুন ধানের ম ম গন্ধে মাতোয়ারা সবাই। মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে এ সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে। সোনালি ধানের দোলায় দুলছে হাজারো স্বপ্ন। স্বপ্নে বিভোর কৃষক-কৃষাণীরা ধান উৎসবে মেতে উঠেছেন। এ বছর লোহাগড়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগমুক্ত থাকায় কৃষকেরা স্বাচ্ছন্দ্যে বোরো ধান কাটছেন। আরো মাসখানেক চলবে ধানকাটা উৎসব।
লোহাগড়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রবীর দাস বলেন, “আমাদের চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬ হাজার ৯শ ১০ হেক্টর জমি, শেষ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমি, গত মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ যেমন বেড়েছে, তেমনি ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি”। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সত্রহাজারী গ্রামের ছবুর কাজী বলেন, চারিদিকে এখন নতুন ধানের সুবাস, নতুন স্বপ্ন, নবউদ্যোম। একই গ্রামের আলতাব কাজীর ছেলে জাপান কাজী জানান, বর্তমানে প্রতিমণ ধান ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রতিমণ ধান ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হলে কৃষকেরা বেঁচে থাকবেন। চাচই গ্রামের মাহাবুব শিকদার বলেন, এখন মাঠের পর মাঠজুড়ে শুধু সোনালি ধান। বাতাসে সোনালিধান দুলছে। কৃষকের মনে অনেক আনন্দ লাগছে। এ বছর মাঝে-মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকেরা ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। আমাদের বাজারে ধানের দাম অনেক কম। এক্ষেত্রে সরকারি নজরদারি প্রয়োজন।  বয়োবৃদ্ধ দেবী গ্রামের বাকাদ্দেস মাষ্টার জানান, এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তিন শতক জমিতে দেড় থেকে দুই মণ করে ধাণ ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। এদিকে, সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। তবে, শ্রমিকসংকট ও উচ্চমূল্যের কারণে ধানকাটা এবং ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন হাটে জনপ্রতি ৪০০ টাকা হারে শ্রমমূল্য বিক্রি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *