দক্ষিনাঞ্চলীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকবৃন্দের হতাশা, টাইমস্কেল, আপগ্রেড তৈরী নিয়ে চলছে নানান ধরনের ঘাপলা, সীমাহীন হয়রানী ও দূর্ণীতি।
শেখ রবিউল ইসলাম (দক্ষিনাঞ্চলীয় প্রতিনিধি): কেবল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও উপজেলা হিসাব রক্ষন ও জেলা শিক্ষা অফিসের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষকদের টাইমস্কেল, আফগ্রেড তৈরী নিয়ে ঘাপলা ও হয়রানীর শিকার হতে শোনা যায়। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সুযোগ্য প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে প্রদান শিক্ষকদের গেজেটেড মর্যাদা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল আফগ্রেড করন গত ইং ৯ই মার্চ ২০১৪ এর ঘোষনা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু তাই নয় বরং বিভিন্ন ধরনের হয়রানীর পৃষ্টে পৃষ্টিত হয়েছেন দক্ষিনাঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। একটি কথা স্বরন রাখতে হবে গনপ্রজাতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা সবচেয়ে আগে দরকার। বাংলাদেশের ৭টি বিভাগের ৬৪টি জেলার ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে বেশকিছু উপজেলাতে শিক্ষকদের ফিক্সসেশন কার্য্যক্রম সম্পন্ন হলেও খুলনা বিভাগের ৬৯টি উপজেলার কোন প্রকার আফগ্রেড কার্য্যক্রম পরিচালনা হয়নি। এছাড়া জাতীয় করনকৃত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল, ইনক্রিমেন্ট অদৃশ্য কারনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা করে সেই সকল দূর্ণীতিবাজ কতৃপক্ষ বন্ধ করে রেখেছে। ইতি পূর্বে গত ইং ৫জুন, ৬ নভেম্বর, ৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখ প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রানালয়ের স্বারক নং ৮৮৯, ১১০১ ও ১১০৫ মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্বারক নং ১৭, ১৮, ১৯/৭১, ১১ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে এই সকল শিক্ষকদের বঞ্চিত করে রেখেছে বলে জানা যায় এই দক্ষিনাঞ্চলের ৬৯টি উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষকদের দুটি উৎসব ভাতা প্রায়ম্ভিক বেতন দেওয়ার এবং ২০১৩ সালের ৬ মাসের প্রতিটি স্কুলের ১,৮০০/= টাকা করে লক্ষ লক্ষ টাকাসহ আনুসাঙ্গিক কন্ট্রিজেন্সি হতে বঞ্চিত করে গোটা শিক্ষকবৃন্দদের প্রতি অন্যায় অভিচার করা মানবেতর লংঘন করা হয়েছে। তাই নিরুপায় হয়ে এই বঞ্চিত শিক্ষকগন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এবং শিক্ষকদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল সমস্যা সমাধানের জন্য আকুল দাবী করেন। (চলবে)