বড় ধরনের অঘটন নিরোধে সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দীনের হস্তক্ষেপ কামনা
এমএম মফিজুর রহমান, মোল্লাহাট (বাগেরহাট) : মোল্লাহাট উপজেলার হিন্দু অধ্যুসিত দত্তডাঙ্গা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী রাইরসরাজ সেবাশ্রম’র কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান শঙ্কিত সাধারণ ধর্মপ্রান হিন্দু সম্প্রদায় ও সুধী বৃন্দ । উক্ত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিরোধে জননেতা সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন সুধী বৃন্দ। তথ্যানুসন্ধানীতে জানা যায়-অন্তত ২৫/৩০ বছর পূর্বে হিন্দু ধর্ম গুরু/জাজক-জগদানন্দ ঠাকুর তার পিতার নামে “রাইরসরাজ সেবাশ্রম” প্রতিষ্ঠা করেন। জগদানন্দ ঠাকুরের নিকট/ওই সেবাশ্রমে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের অবাধ আনাগোনায় মুখোরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সুন্দর ও শৃঙ্খল জীবনের দিক নির্দেশনা দিতেন তিনি । গত ২০০৭ ইং সনে জগদানন্দ ঠাকুর’র মৃত্যু’র পর ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ধর্মপ্রান হিন্দুদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে । সেবাশ্রমের নিজস্ব সম্পত্তি ও অনেকের স্বেচ্ছানুদানের অর্থে কয়েক বছর ভালই চলে। পরে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার বৈবুনিয়া গ্রাম থেকে আগত মোল্লাহাট উপজেলার ব্রাহ্মন ডাঙ্গা গ্রামের জামাতা শিক্ষক বরেন্দ্রনাথ’র নেতৃত্বে কিছু লোক বিভাজন সৃষ্টি করে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে হাল ধরে সেবাশ্রমের। এরপর তারা শুরু করে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নামে কালেকশন। এভাবে কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও সম্প্রতি অর্থনৈতিক হীসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে অপর পক্ষের আলোচনা/প্রতিবাদের কারনে নুতন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় সেবাশ্রমে শহ¯্রাধিক লোকের বৈঠক বসে। মোল্লাহাট উপজেলা আ’লীগ সভাপতি কালিপদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন-উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: শাহীনুল আলম ছানা। ওই বৈঠকে তাৎক্ষণিক কমিটি গঠনে বিতর্ক-অশান্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় সকলের কাছে গ্রহন যোগ্য কমিটি গঠনের লক্ষে প্রধান অতিথি সহ গণ্যমান্য মুরব্বিগণ প্রস্তাব করেন-উপজেলা আ”লীগ সভাপতি কালিপদ বিশ্বাসকে প্রধান করে এবং দুই পক্ষের ২জন করে ৫সদস্য’র আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে ৫২টি গ্রামের (হিন্দু সম্প্রদায়ের) ভোটার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। ওই সময় গণ্যমান্য/মুরব্বিদের প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করে সকলের সামনেই শিক্ষক বরেন্দ্রনাথ’র নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের শিক্ষক রমেশ চন্দ্র খান সহ সকলকে মারপিটের চেষ্টা করে তার অনুসারিরা। ওই সময় প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান- শাহীনুল আলম ছানা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: মশিউর রহমান মিয়া ও আবুল বাশার মোল্লা সহ অনেকে আপ্রান চেষ্টা করে হামলাকারীদের কবল থেকে নির্বাচন প্রত্যাশি শান্তির পক্ষের লোকদের রক্ষা করে। ওই ঘটনার কোনরূপ মিমাংসা ছাড়াই ভন্ডুল হয়ে যায় বৈঠক। বর্তমানে দুই পক্ষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত রক্তক্ষয়ি ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সেবাশ্রম রক্ষা ও সুস্থ্য-সুন্দর পরিবেশ ফিরে পেতে সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের জরুরী হস্থক্ষেপ’র প্রয়োজন বলে জানান- সুধী বৃন্দ ও শান্তি প্রিয় হিন্দু সম্প্রদায়।