নতুন অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের রাজনীতি?
ঢাকা : বাংলাদেশে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে প্রধান বিরোধী দলের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে এখন গণনা চলছে। দুপুরের আগেই প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে বিএনপির ভোট বর্জনের কথা আসে। তার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা নির্বাচন বয়কটের কথা ঘোষণা করেন। সেসময় সেখানে ঢাকা উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকেও ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মঞ্জুর আলম ক্ষোভে রাজনীতি থেকেই সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, রাজনীতির জন্যে ইস্যু তৈরি করার লক্ষ্যেই বিএনপি পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বয়কট করেছে। গত বছর ৫ই জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বয়কট এবং এ বছর টানা কয়েক মাস ধরে সহিংস আন্দোলনে ক্ষান্ত দিয়ে বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়। অনেকেই মনে করছিলেন যে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হয়তো রাজনৈতিক অচলাবস্থার বরফ গলার একটা সুযোগ তৈরি হলো। কিন্তু আজ বিরোধীদের ভোট বয়কটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি যে নতুন একটি অনিশ্চয়তায় পড়লো এনিয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। সূত্র: বিবিসি