হলুদ সাংবাদিকতাই সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশাকে করছে কলূষিত
নূরুজ্জামান প্রধান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা: গণমাধ্যম এক বিশাল জগত। এর একটি অংশ সংবাদপত্র। সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ; আবার সমাজ দর্পণও বলা হয়। সংবাদপত্র, রেডিও-টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, নাটক, অভিনয়সহ গণমাধ্যমের নানা ধারায় যারা কাজ করেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক, পেশাগত শিক্ষা অনেকেরই কম রয়েছে। তৃণমূল পর্যায় গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের শেখার সুযোগ একেবারেই কম। তাদের শেখার মাধ্যম অনেকটাই জ্যেষ্ঠদের কজে দেখে, আর শুনে-শুনে। এদিকে অন্যান্য পেশার মতো বর্তমানে কম-বেশি সাংবাদিকতার পেশায়ও আছে দুষ্টগ্রহ। আর সাংবাদিকতায় এমন দুষ্টগ্রহই হলুদ সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। হলুদ সাংবাদিকতাই সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশাকে করছে কলূষিত। এক সময় দেশে সংবাদপত্র কম ছিল আর তাই সাংবাদিকের সংখ্যাও ছিল কম। বর্তমান সময়ে প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে যোগ হয়েছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংখ্যাও এখন কম নয়। সাংবাদিকের সংখ্যাও তাই অগণন। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও দেশে জেলা, উপজেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে প্রেস ক্লাব কিংবা সাংবাদিকদের জাতীয় সংগঠন সমূহের শাখা-প্রশাখা। সাংবাদিকতার বিকাশে অবশ্য এটা একটা শুভ লক্ষণ। কিন্তু পরিশীলিত বিন্যাস, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, পেশাগত মানোন্নয়ন ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে বিকাশ কতটুকু সাধিত হয়েছে বা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন অস্বীকার করা যাবেনা। মানসম্মত সাংবাদিকতায় আসতে হলে ন্যূনতম ধারণা নিয়েই আসতে হবে। অপর দিকে আজকাল অহরহ সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা চোখে পরে। সাংবাদিকদের উপর হামলা করে ভীতি প্রদর্শন এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনও করা হয়ে থাকে। অন্য আর দু’একটি পেশার চেয়ে সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ পেশা। তাছাড়াও সুনাম-দুর্নাম দুটাই এ পেশার সাথে জড়িত আছে। তার মধ্য আবার অনেক ক্ষেত্রে হলুদ সাংবাদিকতাই এ পেশাকে করছে কলুষিত।