সেনাবাহিনী নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ নিরসনে ইসির বিবৃতি
ঢাকা: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিভ্রান্তি নিরসনে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান এ বিবৃতি পাঠান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া আর কোনো সময়ই সেনাবাহিনী কেন্দ্রে কেন্দ্রে বা রাস্তায় টহল দেয়নি বরং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করেছে এবং রিটার্নিং অফিসার ডাকলে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা নির্বাচনে তাদের সুবিধামত বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প করে থাকতে হয়। তারা ক্যাম্পে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকে। ডাক পড়লে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং সেনানিবাস শহরের কেন্দ্রস্থলে। তাই সেনাবাহিনী মিরপুর বা উত্তরা থেকে সহজে দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারবে। এ কারণে সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অবস্থান করলেও ইসি মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো প্রস্তুত হয়ে থাকবে। ডাক পরলে তাৎক্ষণিকভাবে তৎপর হবে। সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্পেই থাকুক আর সেনানিবাসেই থাকুক তাদের মুভমেন্ট সময় একই থাকবে এবং তাতে করে তাদের কার্যকারিতাও সমান পর্যায়েই থাকবে। এছাড়া ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে ফলে রাস্তায় যানজট থাকবে না। তাই খুব দ্রুতই সেনাবহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবে।
এছাড়া এবারের সিটি নির্বাচনে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এসব বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক মোবাইল টিম টহল দেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। উপরন্তু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে করে পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।
এ বিবৃতির পর নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন বিষয়ে আর কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না বলে আশা করেছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, বিএনপি অন্যান্য প্রার্থীদের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেবা মোতায়েনে রাজি হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানোর একদিন পরেই চিঠির ভাষা পাল্টিয়ে দেয়া হয়। ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সেনা টহলের কথা থাকলেও পরের চিঠিতে ক্যাম্পে অবস্থানের কথা বলা হয়। বলা হয়, রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে আহ্বান করলে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন।