বেনাপোলে জোড়া খুনে মামলা। আটক ২
বেনাপোল প্রতিনিধি যশোরের বেনাপোলে জোড়া খুনের ঘটনায় সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় নিহতের ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত কুদরত মল্লিকের ছেলে আব্দুর রহমান, আব্দুর রহমানের ছেলে নাসির উদ্দিন (নছু), ফুলছদ্দি, গিয়াস উদ্দিন, আলাউদ্দিন, নাসির উদ্দিনের ছেলে সালমান ও আব্দুল হামিদের ছেলে ইমাদ আলী। আসামিদের মধ্যে আটক হয়েছে আব্দুর রহমান ও তার ছেলে গিয়াস উদ্দিন। স্থানীয়রা জানান, নিহত ব্যক্তিদের সঙ্গে ওই অভিযুক্ত আসামিদের আগে থেকে বিরোধ ছিল। এর কারণে সামান্য কথাকাটাকাটির জের ধরে তা খুনো-খুনিতে রুপ নেয়। গত এক বছর আগে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিহত ওই ইউপি সদস্যের স্বজনদের হাতে খুনের শিকার হয় নছুর ভাই শহিদুল। সে সময় জখম হয় নছুও। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গতকাল রাত ৮টার দিকে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশে নিহতদের দাফন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বেনাপোলে ব্যাপক ঝড় হয়। এতে রাস্তার গাছ উপড়ে পড়ে। পরের দিন ২৪ এপ্রিল সকালে গাছের ডাল কাটতে আসে ওই এলাকার নছু, আলাউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন। এসময় সাবেক ওই সাবেক ইউপি সদস্য বাধা দিলে এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হলে এতে আব্দুল্লা, বুদো, আজগার, সুমনসহ ৬ জন গুরুতর জখম হয়। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে হাসতাপালে নেওয়ার পথে মারা যায় আব্দুল্লা। পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় বুদো। এ ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত আসামিদের ৩টি বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে আজগার, সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অবস্থার অবনতির কারণে তাদের দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।