নেপালে ভূমিকম্পে নিহত হাজার ছাড়িয়েছে
ঢাকা: নেপালে শনিবার সকালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। নেপালের পুলিশ-সূত্র জানিয়ছে, ওই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৫২৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডুতে। এছাড়া পোখারা শহরেও বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি।
এদিকে উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তার জন্য ভারত ৪৫ সদস্যের একটি সেনাদল নেপালে পাঠাচ্ছে এবং উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে ২ টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। আরও পাঠানোর পরিকল্পনার রয়েছে।
শনিবার নেপালের পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশেও আঘাত হানে ভূমিকম্প। বাংলাদেশে এ ঘটনায় ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ভারতের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বিহাররাজ্যে ২৫ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৩ জন, উত্তরপ্রদেশে ৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে ।
ভূমিকম্পে রাজধানী কাঠমাণ্ডুর বহু পুরনো ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনার জের ধরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি।
এর আগে দেশটিতে ১৯৩৪ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৮ দশমিক ৩।
এদিকে শনিবারের ভূমিকম্পে ভেঙে গেছে ১৯ শতকে নির্মিত একটি প্রাচীণ টাওয়ার। ঐতিহাসিক ওই টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষে কমপক্ষে ৫০ জন মানুষ আটকা পড়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। ১৮৩২ সালে নির্মিত ওই টাওয়ারটি গত ১০ বছর ধরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওই টাওয়ার থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১ টা ৪১ নাগাদ প্রবল কম্পনে কেঁপে ওঠে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল। প্রায় ২ মিনিট ধরে কম্পন অনূভূত হয়। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে জানানো হয়েছে, দিল্লি, লক্ষ্নৌ, কোলকাতা, রাঁচি, জয়পুর, গৌহাটি, বিহার, ওড়িষ্যা, পঞ্জাব , সিকিম এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে। এ ঘটনায় ওইসব এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় ছুটে আসে ভয়ার্ত লোকজন।