সৈয়দপুরে জেলা যুবলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সৈয়দপুর : ১৮ই এপ্রিল সৈয়দপুর টাউন হল-এ সৈয়দপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মহসিনুল হক মহসিন। তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান, স্বাধীনতার যুদ্ধে তার পরিবারে তার বাবা সহ ৭ জন শহীদ হন। উক্ত সভাপতি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সৈয়দপুর জেলা যুবলীগ বিগত লড়াই সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। ইতিমধ্যে তা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছবিসহ খবর ছেপেছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ করেছেন। আর মাত্র কয়েকটি ওয়ার্ড বাকী রয়েছে। ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড মিলে তার প্রায় ৩ হাজার সদস্য রয়েছে। এমতাবস্থায় কোন কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ করে একটি কুচক্রি মহল চলমান প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র হতে একটি আহ্বায়ক কমিটির কথা একটি স্থানীয় আলাপন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি হতে আমাকে কোন প্রকার এখন পর্যন্ত অবহিত করেননি বা আমি কোন এই সংক্রান্ত কাগজ পায়নি। অতএব আমার জেলা যুবলীগ কমিটি বহাল রহিয়াছে। সংবাদ সম্মেলনে মহসিনুল হক মহসিন বিগত ১৬ই এপ্রিল স্থানীয় প্রেস ক্লাবে একটি পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার মিথ্যা তথ্য ও উক্ত প্রেস ক্লাবে একটি ৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন কাগজপত্র প্রকাশ করেনি। সভাপতি আরো বলেন যে, একজন স্থানীয় রেল শ্রমিক নেতা মোকছেদুল মোমিন পদবী: মিস্ত্রী, টি/নং- ৬০১৬, মিল রাইট সপ, রেলওয়ে কারাখানা, সৈয়দপুর। মুল পরিকল্পনাকারী তার হীন মন মানসিকতা তার অবৈধ স্বার্থ চরিতার্থ ও আওয়ামী লীগ সহ ছাত্র লীগ, যুব লীগ, তার পকেটস্থ করার জন্যই এই হীন চক্রান্তে লিপ্ত রহিয়াছেন। তারা যে আহ্বায়ক কমিটিটি ঘোষনা করেছেন তাদের মধ্যে আহ্বায়ক জামাত পুত্র যুগ্ম আহ্বায়ক যুদ্ধ অপরাধীর সন্তান (দিলনেওয়াজ খান) অপর আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ যিনি ছাত্র অবস্থায় ছাত্রশিবির করতেন, বর্তমানে ইট ভাটা ব্যবসায়ী যুগ্ম আহ্বায়ক দুই জন যাদের জেলা যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য পদ নাই। এছাড়া আরো বক্তব্য প্রদান করেন সহ সভাপতি মহসিন আলী রুবেল, সহঃ সভাপতি আমিনুল হক, সহঃ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাহাত সরকার, পৌর যুবলীগের সাঃ সম্পাদক কাজী মনোয়ার হোসেন হায়দার। লিখিত বক্তব্য ও মৌখিক বক্তব্য শেষে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুগ্ন আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খানের বাবা পার্বতীপুরের বাসিন্দা ছিলেন। উক্ত ফুটেজে পার্বতীপুরের একজন বৃদ্ধা মহিলা উক্ত যুগ্ম আহ্বায়কের বাবার কীর্তি কলাপ, হত্যা, গুম, মানুষ পোড়ানোসহ নানাবিধ জঘন্য কীর্তি কলাপের বর্ণনা দেন।