বাগেরহাটের কচুয়ায় চড়ক পূজা উপলক্ষে ৩ দিনের মেলা মিলেছে
মোঃ জাকারিয়া আগুন, বাগেরহাট : হাজার হাজার মানুষ অপলক তাকিয়ে আছে। একজন মানুষ শুন্যে ঘুরছে। তাও একটি দড়িতে
ঝুলে। যে দড়িটি বাঁধা রয়েছে ওই মানুষটির পিঠের চামড়ার সঙ্গে গাঁথা বড় বড় দুটি
বরশির সাথে। চলছে উলুধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি। বাজছে ঢাক-ঢোল। বরশিতে ঝুলে থাকা
মানুটি আবার তার সাথে থাকা প্রসাদ ছিটিয়ে দিচ্ছেন অগনিত ভক্ত/দর্শকদের
উদ্দেশ্যে। সকলেই বিষ্মিত। রুদ্ধশ্বাসে ভয়ংকর এ দৃশ্য দেখে শিশু-যুবক-বুদ্ধ
সকলেই যেন মুগ্ধ। অন্তত ২০-২৫ ফুট লম্বা একটি কাঠ। যা মাঠের মধ্যখানে পোতা।
অনেকটা লাঙ্গলের জোয়ালের মত আরেকটি কাঠ এই কাঠের ওপর লম্বালম্বিভাবে বসানো হয়।
আর কাঠের মাথায় থাকে মাটি পর্যন্ত এক গাছ লম্বা দড়ি। দড়ির একপ্রান্তে একদল
মানুষের শক্ত হাত আর অপর প্রান্তে থাকে ভয়ঙ্কর সুন্দর সেই দৃশ্য। আর এটাই চড়ক
মেলার উৎসবের মূল আকর্ষণ। গত ৬’শ বছর ধরে বাগেরহাটে কচুয়ার রাঢ়িপাড়া শিববাড়ি
প্রাঙ্গনে সনাতন ধর্মের এ উৎসব অনুষ্টিত হচ্ছে। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুন
বছরকে বরণ করতে বরাবরের মত এবারও চড়ক উৎসব উপলক্ষে ৩ দিনের মেলা মিলেছে। জেলা
ইসকনের প্রধান উপদেষ্টা বাবুল সরদারের সভাপতিতে এ উৎসব উদ্বোধন পর্বে প্রধান
অতিথি ছিলেন, আলহাজ্জ মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কচুয়া
উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম মাহফুজুর রহমান, বেবী মোর্শেদা খান। এসময় বক্তব্য
রাখেন প্রদীপ বসু সন্তুু, শমশের আলী প্রমুখ। বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করেন।