১৫ বছর পর ছায়ানটের ‘এসো হে বৈশাখ’
ঢাকা: কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসে হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি যেন বাঙালির প্রাণের গান। পুরানো বছরের ব্যার্থতা ভুলে নববর্ষে নতুন করে এই গানের তানেই আশার ভেলায় ভাসে হৃদয়।
তবে দীর্ঘ ১৫ বছর পরে ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজনে গাওয়া হবে গানটি।ছায়ানটের মূল অনুষ্ঠান রমনার বটমূলে বৈশাখের প্রথম প্রত্যূষে বাংলা নববর্ষের আবাহন পরিণত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে। সংগঠনের গণ্ডি ছাড়িয়ে এ আয়োজন বাঙালির প্রাণের অনুসঙ্গ। বৈশাখবরণে বিশ্বকবির এই গানটি সর্বশেষ ২০০০ সালে গাওয়া হয়েছিল ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজনে। ১৫ বছর পরে এবার নববর্ষে এই গানটিতে কণ্ঠ মেলাবেন ছায়ানটের প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থী।
২০০১ সালের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এই গানটি পরিবেশনের কথা ছিল। গানের তালিকায় সম্মেলক সঙ্গীত হিসেবে শেষ পর্যায়ে রাখা হয়েছিল গানটি। কিন্তু অনুষ্ঠানের মাঝপথে ধর্মান্ধ জঙ্গীদের বোমা হামলায় অসমাপ্ত রয়ে যায় আয়োজন, গাওয়া হয়নি অনবদ্য এই গানটি।
এ প্রসঙ্গে ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে গানটি গাওয়া হবে ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজনে। এতোদিন গানটি গাওয়া হয়নি, কারণ ছায়াটন এতো বছর থিম নির্বাচন করে বর্ষবরণ করেছে। এ বছরের থিম ‘শান্তি, মানবতা ও মানবাধিকার’। থিম অনুযায়ী গানটি নির্বাচন করা হয়েছে। ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জ্বরা, অগ্নি স্নানে শূচি হোক ধরা’- কথাগুলো তো বর্তমান সময়ের সকলের প্রাণের বানী।’
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর গান ও আয়োজনে বৈচিত্র রাখে ছায়ানট। এ বছর রবীন্দ্র ও নজরুল ছাড়াও পরিবেশন করা হবে সলিল চৌধুরীর গণসঙ্গীত, লালন ফকিরের গান ও রশিদউদ্দীন রচিত সঙ্গীত। একক কণ্ঠে গান শোনাবেন ১৩ জন খ্যাতিমান ও পরিচিত নবীন-প্রবীণ শিল্পী। কবিতাপাঠে অংশ নেবেন দুইজন বাকশিল্পী। মঞ্চে পাঁচটি সারিতে বসে সম্মেলক গানে অংশ নেবেন ৯৫ জন। সব মিলিয়ে পুরো আয়োজনটিতে অংশ নেবেন প্রায় ১২৫ থেকে ১৩০ জন কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী।