সাদুল্লাপুরে ধান ক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগের আক্রমন : বালাই নাশকে কাজ হচ্ছেনা, বিপাকে কৃষক
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) থেকে আমিনুল ইসলাম : সাদুল্লাপুর উপজেলার শত শত বিঘা ইরি বোরো ধান ক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন বালাই নাশক ছিটিয়েও কাজ না হওয়ায় ধান চাষী কৃষকেরা বিপাকে পড়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৭ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় উপজেলায় ধান চাষ খুব ভালো হয়েছে, ধান ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকের মূখে হাসি ফুটে উঠলেও ধান পাকার আগ মুহুর্তে এসে কৃষকের মুখের হাসি বিলীন হতে বসেছে। বিশেষ করে উপজেলার উচু লাল মাটির এলাকা হিসাবে পরিচিত ধাপেরহাট ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাঠের ফুলো ধান ক্ষেতে শীষে দেখা দিয়েছে নুতন ধরনের একটি রোগ, দূর থেকে ধানের শীষ দেখে মনে হয় ধান পেকেছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ধানের শীষে চাল নেই, শীষ জুড়ে পাতান বা ঠোসা। ফসলের এমন অবস্থা দেখে উপজেলা কৃষি বিভাগকে জানালে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে এসে ধান ক্ষেত পরিদর্শন করে জানান, এরোগের নাম নেক ব্লাষ্ট, ধাপেরহাট ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কারনে নতুন এ রোগ দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা প্রচন্ড রোদ ও তাপদাহ আবার ভোর রাতে কুয়াশাচ্ছন্ন ঠান্ডা থাকায় ধান ক্ষেতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক কৃষক আবার অভিযোগ করেছেন তাদের জমিতে নেকব্লাস্ট রোগ ও কারেন্ট পোকার আক্রমন ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। উচ্চ মূল্যের বালাই নাশক ছিটিয়েও রক্ষা হচ্ছেনা ধান ক্ষেত। বর্তমান বাজারে ধান চালের দাম কম হওয়ায় এমনিতেই লোকসানের হিসাব গুনছে ধান চাষীরা। তার উপর শেষ মুহুর্তে এসে উচ্চ মূল্যে বালাই নাশক ক্রয়করতে হিম সিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। তিলকপাড়া গ্রামের ধান চাষী আমজাদ আলী ও মিলন মিয়া জানান তাদের রোপণকৃত প্রায় ১০ বিঘা জমির ধান ক্ষেত এ রোগের আক্রমনে বিনষ্ট হয়েছে। এছারাও আশে পাশের বিঘা বিঘা জমিতে এ রোগের আক্রমন ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। এ কারণে এলাকার ধান চাষী কৃষকেরা মাঠ ভর্তি ইরি বোরো ধান নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। ইতি মধ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকের দ্বার প্রান্তে গিয়ে এ রোগের প্রতিকারের জন্য নাটিভো, এমিস্টার টপ ও ফিলিয়া জাতীয় বালাই নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি অনেক কৃষকের মুঠো ফোনে কৃষি পরামর্শ হিসেবে বার্তাও পাঠাচ্ছেন।