সৈয়দপুরে রেলওয়ের মূল্যবান জায়গার উপরে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ বহুতল ভবন : আদালতের আদেশ উপেক্ষিত
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী : সৈয়দপুর শহরের অধিকাংশ জায়গা রেলওয়ের জায়গায় অবস্থিত হওয়ার ফলে রেলওয়ের পৌরসভার সঙ্গে সামান্য জমি নিয়ে উচ্চতর আদালতে মামলা রয়েছে। সেখানে একটি আদেশ রয়েছে। উক্ত আদেশে স্পস্ট ভাবে বলা আছে পৌরসভা নকশা বা নতুন করে কোন প্রকার অবকাঠমো বা আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে পারবে না। উক্ত আদেশকে স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকজন নেতার গোপন চক্রান্তে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মহামান্য আদালতের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে শত শত অবৈধ দখলদার তাদের ভালো দোকান ঘর ভেঙ্গে নির্মান করছে বহুতল ভবন। মনে হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সৈয়দপুরের অবৈধ দখলদারেরা মনে করছে সৈয়দপুরে কোন প্রশাসন নাই। রেলপ্রশাসন সিভিল পুলিশ প্রশাসন কিংবা স্থানীয় পৌর প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে শহরের মূল রাস্তা চিকন করে রাস্তার উপরে নির্মাণ সামগ্রী রেখে মহাধুমধামে প্রচণ্ড যানজট তৈরী করে ও দিনের বেলা ইটের ট্রলি বালুর ট্রলি রেখে বীর দর্পে রাস্তার উপর দাড়িয়ে মালা মাল নামাচ্ছে এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় সাধারণ জনগন ও পথচারীরা সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এব্যপারে ব্যাপক লেখালেখি হলে রেলপ্রশাসন সামান্য উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন ও প্রায় ৭০ জন অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু র্দীঘদিন পার হলেও অজ্ঞাত কারণে উক্ত প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন না করে অবৈধ দখলদারদেরকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এটি মহামান্য আদালত অবমাননার সামিল। এব্যপারে স্থানীয় সাধারন নাগরিকের মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন, এটি অন্যায়, স্বাধীনতার ৪৪ ব্ছরের দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে রেলকে আধুনিকায়ন করছে তখন এই সকল অবৈধ দখল কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ ও চক্রান্তকারি কর্মকর্তা কর্মচারী দের রিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে রেলকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা দরকার বলেই সৈয়দপুরের সাধারণ জনগণ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার মনে করেন। বিষয়টির ব্যাপারে রেল মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সমাজ সচেতন মহল।