ফের থেমে গেল ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া

jailঢাকা: যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের দণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরও আবার কিছুটা শিথিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের যে রাস্তাটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে আবারো সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হয়। তারআগে রাত ৯টার দিকে কারা চিকিৎসক আহসান হাবীব ও লালবাগ জোনের এডিসি মফিজ উদ্দিন কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
তার কিছুক্ষণ পর কারাগার থেকে বের হন সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীও। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন আজ রায় কার্যকর হচ্ছে কি না। ফরমান আলী এর সুস্পষ্ট কোনো জবাব দেননি। এরপর সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান- আমরা থাকবো কি না। এর জবাবে ফরমান আলী বলেন, ‘চলে যান।’
তবে তার আগে সন্ধ্যার পর থেকে ফাঁসির রায় কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার তোড়জোড় দেখা যায় কারাগারের সামনে। একে একে কারাগারের ভেতেরে যান কারা চিকিৎসক আহসান হাবীব, লালবাগ জোনের এডিসি মফিজ উদ্দিন, ফরমান আলী। ফাঁসির মঞ্চের ওপরে সামিয়ানা টানানোর জন্য বাঁশও কারাগারের ভেতরে নেয়া হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। কারাগারে সামনে থাকা র্যাব এবং এসবির দুজন কর্মকর্তাও বলেছিলেন, আজ রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে কামারুজ্জামানের।
তবে মোটামুটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরমান আলীর বের হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দৃশ্যপটে পরিবর্তনের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া কামারুজ্জামানের পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ আজ শুক্রবার তার সঙ্গে দেখা করেননি।
সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তার আইনজীবীরা। সেদিন তারা মূলত রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নিয়েই শলা-পরামর্শ করেন। এরপর শুক্রবার দুজন ম্যাজিস্ট্রেট কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করলেও, কামারুজ্জামান তাদের কী বলেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। তাই তাকে আর সময় দেয়া হচ্ছে না।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ও কারা কর্তৃপক্ষের রায় কার্যকরের নানা আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর সেখানে ভিড় জমান গণমাধ্যমকর্মীরা।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কামারুজ্জামানের ফাঁসি আজ কার্যকর না হওয়ারও একটি সম্ভাবনাও রয়েছে। এরআগে গেল সোমবার কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ওই রাতেও কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের কিছুটা প্রস্তুতির খবর পাওয়া যায়। সেদিনও কারাগারের সামনে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। পরে রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ফরমান আলী নিশ্চিত করেন সেদিন ফাঁসি হচ্ছে না। সেদিন তিনি কারণ দেখিয়েছিলেন, রায়ের কপি হাতে না পাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *