১৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর শিক্ষা জীবনের নিশ্চয়তার কি বিধান দেবেন? দায়ী কে ?
মো: লিটন হোসেন, খুলনা : শৈলকূপা উপজেলার পৌরসভার খুলনা বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিনের পর দিন একজন মানসিক রোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদটি দখল করে থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর জীবন। সোমবার আমাদের প্রতিনিধি ঐ প্রতিষ্ঠানে গেলে যে চিত্র ফুটে ওঠে তা বর্ণনা কর হল ।
বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রায় ২/৩ বছর যাবত সরকারী হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে শ্যামপুর ও চতুড়া গ্রামের প্রায় ১৫০ জন ছাত্র ছাত্রী লেখাপড়া করে। কিন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িছে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মানসিক রোগী, যার কারনে প্রায়ই ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসে না, কারণ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে নিরাপদ বোধ করেন না ,তারা সব সময় উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন। তাই সোমবার এই প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল যে প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। উপস্থিত অন্য দুই জন শিক্ষক অন্য শ্রেণী কক্ষে টেবিলের উপর মাথা রেখে ঘুমাছে । বিদ্যালয়ে একজন ছাত্র ছাত্রীরও দেখা পাওয়া গেল না। বিদ্যালয়ের মাঠে একটি গরু ও স্কুলের বারান্দায় দুইটি ছাগল হেঁটে বেড়াচ্ছে। শিক্ষকদের অন্য শ্রেণী কক্ষে ঘুমানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা বলেন- ম্যডাম যে রুমে থাকে ঐ রুমে বসলে আমাদের সমস্যা আছে । তাই আমরা অন্য রুমে বসে আছি ছাত্র ছাত্রী না থাকার কারণে ঘুমিয়ে পড়েছি ।
পাশের গ্রামের সিদ্ধি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা পাওয়া গেল প্রাথমিক সহকারী প্রশিক্ষক জনাব মো: ইউসুফ আলীর সাথে। তার সাথে আলাপকালে জানতে পারা যায় যে খুলনা বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: নুরনাহার একজন মানসিক রোগী। ইতিপূর্বে সে তার সাথে এবং থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে কিন্তু মানসিক রোগী বলে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ভয়ে তার প্রতিষ্ঠানে যাই না ।
নুরনাহারের ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জেসমিন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,যে আমরা অবগত আছি যে নুরনাহার একজন মাসসিক রোগী, কিন্ত মানবিক কারন বিবেচনা করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি। তাহাছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন অবগত আছেন । তার নিকট জানতে চাওয়া হয় যে, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি মানসিক রোগী হয় তাহলে কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে আর এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা জীবনের নিশ্চয়তার কি বিধান দেবেন? দায়ী কে ? তিনি তার কোন যথাযথ উত্তর না দিয়ে চুপ করে ছিলেন।