ঝিনাইদহে নতুন হাটখোলা বাজারে ডিসি’র আদেশ অমান্য করে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি

jhi henঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহে নতুন হাটখোলা বাজারে জেলা প্রশাসকের আদেশ অমান্য করে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে।গত বুধবার ০১ মার্চ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহ জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ উপস্থিত নতুন হাটখোলা বাজারের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় সিদ্ধান্ত হয় শনিবার,সোমবার ও বুধবার সপ্তাহে গরুর মাংস তিনদিন বিক্রি বন্ধ থাকবে এবং মুরগি বিক্রি সপ্তাহে সোমবার বন্ধ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারন করে দেয়া হয়।সরেজমিনে শনিবার সকালে নতুন হাটখোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়,মুরগী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন,মোঃ চয়ন হোসেন,মহিদুল ইসলাম,মশিউর রহমানের দোকানসহ সকল পোল্ট্রি মুরগীর দোকানে ১৫০/১৫৫ টাকা কেজি দরে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি হচ্ছে।এতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে বলে বাজারের ক্রেতা ও ব্যবসায়ী মহল মনে করেন। গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের আদেশ মান্য করেই সপ্তাহে তিনদিন বন্ধ রাখার সুযোগে মুরগি ব্যবসায়ীরা বেশী মুনাফায় মুরগী বিক্রি করছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিল গাজী,জয়নাল,তৌফিক,রাজন,রাজ্জাক,আবজাল ও মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়,জেলা প্রশাসক মহোদয় যে নির্দেশ আমাদের দিয়েছেন সেই নির্দেশ মান্য করেই আমরা গরু মাংস ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছি।তারা বলেন তিনদিন গরুজবাই বন্ধ থাকার সুযোগে মুরগী ব্যবসায়ীরা ডিসি স্যারের আদেশ অমান্য করে বেশী দরে মুরগী বিক্রি করছে।বাজার নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে।গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, একযোগে সারা বাংলাদেশে সপ্তাহে একদিন গরু জবাই বন্ধ থাকলে গরু বাঁচবে এবং দাম নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।সরেজমিনে ঝিনাইদহ শহর থেকে চার কিলো মিটার দুরে নগর বাতান বাজারে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে প্রতিহাটের দিনে ১/২টি গরু জবাই হতো ,সেখানে প্রতিদিন ৭/৮টি গরু জবাই হচ্ছে।ক্রেতারা এক বাজার বন্ধ থাকলে অন্য বাজারে চলে যায় এবং সেখানে বেশী দামে মাংস বিক্রি হয়।তাই ব্যবসায়ীরা বলেন একযোগে সপ্তাহে একদিন বন্ধ করলে গরু বাঁচবে এবং দামও বৃদ্ধি পাবেনা ।নতুন বাজারের মুরগী ক্রেতা ডাঃ বিটু, খায়রুল ইসলাম,শফিকুল আলম ও নুর জাহান বেগম বলেন,পোল্ট্রির দাম কম থাকায় সবশ্রেনীর মানুষই মাংস খেতে পারতো এখন বাজারে এসে ১৫০/১৫৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।এত দাম বৃদ্ধি পেলে গরীবেরা মাংস কিনে আর খেতে পারবেনা।মুরগী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, আমাদেরকে বেশী দামে মুরগী কিনতে হচ্ছে যার কারনে বেশী দামে বিক্রি করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।আদেশ মানতে হলে আমরা মুরগী ব্যবসায়ীরা লস গুনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *