লোহাগড়ায় নারী শ্রমিকের বৈষম্য বেড়েই চলেছে
কাজী আশরাফ লোহাগড়া(নড়াইল) ঃ নড়াইলের লোহাগড়া এলাকায় ১০ বছর ধরে রাজমিস্ত্রির যোগাল (লেবার) দিয়ে যাচ্ছেন সন্ধ্যা বিশ্বাস। তবে ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি তাঁর। স্বামী স্বপন বিশ্বাস নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেন। অভাবের সংসার। তাঁর চারটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলে তারক বিশ্বাস (১৫) মিতালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। জীবিকার তাগিদ এবং সন্তানের ভালো ভবিষ্যতের জন্য টাকা জোগাড় করতে একজন নারী হয়েও হাড়ভাঙা খাটুনি খাটছেন সন্ধ্যা বিশ্বাস। দুর্ভাগ্য যে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি সমান বোঝা মাথায় নিয়েও পাচ্ছেন না পুরুষ শ্রমিকের সমান মুজুরি। লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বিশ্বাসের স্ত্রী সন্ধ্যা বিশ্বাস। সবাই তাঁকে তারকের মা বলে ডাকে। তাঁর জীবনের ভবিষ্যৎ আশা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার জীবনের একটাই আশা আমার তারককে শিক্ষিত করতে চাই, অভাবের সংসার-কি পর্যন্ত লেখাপড়া করাতে পারব ঈশ্বরই ভাল জানে।