সাপাহারে পুনর্ভবা নদীর বালুমহালের দরপত্র স্থগিত করে রুল জারী
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) : নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পুনর্ভবা নদীর বালুমহাল ইজারা প্রদানের প্রায় ১০মাস পর সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ইজারাদারের নিকট দখল হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ইজারাদার হাইকোর্টে রিট পিটিশন করায় দরপত্র স্থগিত ঘোষণা করে হাইকোর্ট একটি রুল জারী করেছে।
প্রকাশ থাকে যে, নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা হতে বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মো. আশিক চৌধুরী সাহিন এর অনুকূলে সাপাহার উপজেলার পুনর্ভবা নদীর বালুমহাল বাংলা ১৪২১ সনের জন্য ইজারাদার প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে বালু মহালের দখল বুঝে না দেওয়ার ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে বহিরাগত লোকজন জোর জুলুম করে বালু উত্তোলন করতে শুরু করে। দখল বুঝে নেওয়ার জন্য ইজারাদারের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের নিকট একটি আবেদন করা হয়। এ দিকে ইজারাদারের নিকট জরুরী ভিত্তিতে পুনর্ভবা নদীর বালু মহালের দখল হস্তান্তরের জন্য সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত বছর ১১ মে সায়রাত কেস নং০৬/২০১৪-১৩৫৮(৩) স্বারকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হতে একটি জরুরী পত্র প্রেরণ করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)র ২৬/০২/১৫ তারিখের ইঃভুঅ/সাপা-২০১৫-২৩৪(৩) আদেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজের আলী ও শরিফুল ইসলাম, সার্ভেয়ার বিকাশ কুমার কবিরাজ ইজারাদারের প্রতিনিধিগণ ও এলাকারগণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গত ২রা মার্চ সরেজমিন ইজারাকৃত বালুমহালে উপস্তিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক লিখিত ভাবে ইজারাদারকে দখল বুঝিয়ে দেয়। অপর দিকে প্রায় ১০ মাস পর বালুমহালের ইজারা বুঝে পাওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় আবারো জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে আগামী বাং ১৪২২ সনের জন্য গত ২৩ মার্চ ইজারা দরপত্র আহব্বান করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়। এ দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিলম্বে বালু মহালের দখল বুঝে দেওয়ার ফলে আর্থিক ভাবে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নিরুপায় হয়ে সঠিক বিচারের জন্য ইজারাদার মো. আশিক চৌধুরী শাহিন মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। গত ২২ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চের মাননীয় বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবির’র গঠিত বেঞ্চ আগামী ২০১৬ইং সালের ২রা ফেব্্রুয়ারী পর্যন্ত সাপাহার উপজেলার পুনর্ভবা নদীর বালুমহালের দরপত্র আহব্বান স্থগিত ঘোষাণা করে একটি জরুরী রুল জারী করেছেন।