বাগেরহাটে বিনাঅনুমতিতে চলছে যাত্রাগান : যাত্রা প্যান্ডেলকে কেন্দ্র করে জুয়ার আসর জমজমাট
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই শুরু হয়েছে যাত্রা গান। আর যাত্রা গানের প্যান্ডেল ঘিরে মাঠের আশ-পাশে জমে উঠেছে নানা ধরণের জুয়ার মেলা। একই সাথে আলো-আঁধারির মাঝে বসতে শুরু করেছে মাদকের হাট। এ উপজেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়। এ ঘটনায় এলাকার সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সচেতন মানুষেরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অবৈধ ভাবে চলা এ যাত্রা ও জুয়া খেলা বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এলাকাবাসির অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার ২৭ মার্চ রাত ১১ টা থেকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামের একটি মাঠে ‘আনন্দ মেলা’র নাম করে এখানে নিউ বরিশাল র্যাফেল ড্র, আনন্দ অপেরার যাত্রা পালার নামে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও যাত্রা প্যান্ডেল ঘিরে নানা প্রকারের জুয়ার আসর বসতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যময়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই শুরু হয়েছে যাত্রা প্রদর্শনী। উদ্বোধনী রাতের পালা ছিল ‘ নিহত গোলাপ’ বলে এলাকার মানুষ জানায়। আয়োজক গোষ্ঠী স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন অনুমতি ছাড়াই এই যাত্রানুষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অনৈতিক বাণিজ্য আর ফূর্তির খোরাক যোগাতে জুয়ার আসর আর মাদকের রম-রমা বাণিজ্যে এলাকার পরিবেশ দূষিত করে তুলছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রায়গ্রাম আনন্দ মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল ফকিরকে সেল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মতি সূচক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তবে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের অনুমতি এখনও পাওয়া যায় নি। অনুমতি ছাড়াই যাত্রানুষ্ঠানের শুরুর বিষয় জানতে চাইলে, তিনি ওই দিন এলাকায় ছিলেন না বলে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেন নি ।
আনন্দ অপেরা পার্টির স্বত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন নয়ন জানান, ১০ রাতের জন্য তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার ১ম রাতে এখানে ‘নিহত গোলাপ’ নামে একটি যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়েছে। কোন নগ্ন নৃত্য প্রদর্শনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
চিতলমারী থানার ওসি দিলিীপ কুমার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন যাত্রানুষ্ঠানের খবর তার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় জেলা প্রশাসক মো: জাহাংগীর আলম অনুমতির বিষয় নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।