আ.লীগের দুপক্ষে গোলাগুলি, আহত ৬

bonduk juddhoরাজশাহী: বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা চত্বরের সামনে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও তার লোকজন জানান, বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সমর্থক আমির হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঈশ্বরদী থেকে বাঘা আসছিলেন। তিনি উপজেলা চত্বরের সামনে এলে যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলাম ও তার লোকজন আমির হোসেনের গতিরোধ করে ও ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আমির হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তসিকুল ইসলামের লোকজন তাকে মারপিট করেন।
ঘটনাটি জানতে পেরে আব্দুল কুদ্দুসের আরেক সমর্থক লাল চাঁন ঘটনাস্থলে ছুটে যান আমির হোসনকে বাঁচাতে। ওই সময় তসিকুলের লোকজন তাকেও মারপিট করেন।
সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে আব্দুল কুদ্দুসের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও কয়েক রাউন্ড গোলাগুলিও ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে দুই জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।
পুলিশের রাবার বুলেটে আহত গুলিবিদ্ধ শামীম ও রতন। এছাড়াও ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছে সাইফুল, শাহিন, নান্নু ও ফরহাদ নামে আরো চার জন। আহতদের বাঘা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আব্দুল কুদ্দুস পক্ষের লোকজনের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলাম জানান, আমির হোসন, তুর্য, লালচাঁন ও হেলেন নামে এক জন শুক্রবার রাতে উপজেলা চত্বরের মধ্যে শিশু গাছের বাগানের মধ্যে লুকিয়ে থেকে পাশে দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করছিলো। তারা আড়ানি পৌরসভার মুক্তার নামে এক কাউন্সিলরের ভাতিজার মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে। বিষয়টি জানার পরে তারা ঘটনাস্থলে গেলে আমির হোসন, তুর্য, লালচাঁন ও হেলেন পালিয়ে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষন পরই আব্দুল কুদ্দুসের লোকজন তাদের ওপরে হামলা করে।
এ ঘটনায় রাতে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয়পক্ষ নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবাব বুলেট নিক্ষেপ করে। উপজেলা চত্বর থেকে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *