পলাশবাড়ীতে জলাতঙ্ক রোগের জীবানু মুক্ত করতে ১৮’শ কুকুরকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ
আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : প্রাকৃতিক সার্বিক পরিবেশ রক্ষায় নিকটাতীতের ন্যায় এখন আর বেওয়ারিশ কুকুর মেরে ফেলে নিধন করা হচ্ছে না। কুকুর যাকে কামড় দিবে তাকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ মাধ্যমে বিষক্রিয়া বিনষ্ট হত। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে এখন নিধন না করে কুকুরকে জীবিত রেখেই জলাতঙ্ক জীবানুমুক্ত করতে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে, কুকুরের কামড়ে আর জলাতঙ্ক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় পলাশবাড়ীতেও কুকুর নিধনের পরিবর্ততে জীবানু বিনষ্ট করতে গত ২২ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চারদিন ব্যাপী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিশেষ কৌশলে নেটজাল দিয়ে ধরে মোট ১ হাজার ৮’শ কুকুরকে ভ্যাকসিন প্রয়োগসহ ওইসব কুকুরদের বিভিন্ন রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এর আগে উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরাসরি রাজধানী ঢাকা থেকে ৯ ইউনিয়নের বিপরীতে ৯জন প্রশিক্ষিত যুবক পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। গত ১৯ মার্চ প্রতি ইউনিয়নে দুইজন করে তালিকাভূক্ত যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. এস.এম আব্দুল জলিল উক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়নে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাসহ সার্বক্ষনিক তদারকি করেন। উল্লেখ্য, স্থানীয় ভাবে নিয়োজিত ১৮জনকে প্রতিনিদিন ৩’শ ৫০ টাকা হিসেবে ৪ দিনে ২৫ হাজার ২’শ টাকা এবং ঢাকা থেকে আগত প্রশিক্ষিত ৯ যুবককে ৫’শ ৫০ টাকা হিসেবে ১৯ হাজার ৭’শ টাকা প্রদান করা হয়।