ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার ফের পেছালো

ফেলানী01কুড়িগ্রাম: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারানো ও কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা বহুল আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারিক কার্যক্রম ফের পিছিয়ে গেছে।
বুধবার সকাল ১০টায় ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচারকরা এসে বসেন। তবে বিএসএফের সহকারী আইনজীবী অসুস্থতার কারণে কোচবিহারে পৌঁছাতে না পারায় আদালতের কাজ শুরু করা যায়নি।
বিবিসি বাংলার সূত্রমতে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত বসবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি।
সকাল ১০টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কুড়িগ্রাম ৪৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেনও ভারতের ৪২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট ভিপি বাদলার বরাত দিয়ে ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
এর আগে গেল বছরের ২২ নভেম্বর বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচারিক কাজ চলার সময় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে চার মাসের জন্য বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
আদালতের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ২৫ মার্চ পুনরায় এ বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন জানান, সকালে ভারতে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারতের ৪২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট ভিপি বাদলা।
এর আগে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু করে বিএসএফ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম আদালতে অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে পুনরায় সাক্ষ্য দেন ও অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকাণ্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *