সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারটি এখন স্থানীয় রেল শ্রমিক নেতার লাকী কূপনের টিকিট কাউন্টারে পরিণত হয়েছে
মোতালেব হোসেন : সৈয়দপুর একটি ঐতিহ্যবাহী পূরাতন রেলওয়ে স্টেশন, এখান থেকে বহু ট্রেন যাতায়াত করে। উল্লেখযোগ্য ট্রেনগুলি হচ্ছে তিঁতুমীর এক্সপ্রেস যার গন্তব্য স্থান রাজশাহী, বরেন্দ্র যেটি খুলনা যায়, রূপসা খুলনা লোকাস এক্সপ্রেস, নীল সাগর, এক্সপ্রেস গন্তব্য স্থান হচ্ছে ঢাকা। এই ট্রেনগুলি মোটামোটি যাত্রী পূর্ণ হয়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই স্টেশন হতে উল্লেখযোগ্য হারে উপার্জন করে থাকে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন যাত্রী সাধারণ অভিযোগ করেন যে, ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে কাউন্টার হতে টিকিট নেওয়ার সময় টিকিটের সহিত ১০(দশ) টাকা মূল্যের লাকী কূপন দিচ্ছে। কাউকে দুইটি বা কাউকে তিনটি কিংবা কিউকে একটি করেও দিচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় সৈয়দপুর জেলা যুব লীগ নেতা সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক রাহাত সরকার জানান তিনি কয়েক দিন আগে নীল সাগর ট্রেনের টিকিট কাটতে কাউন্টারে গেলে কাউন্টারকর্মী টিকিটের সহিত আরো ১০(দশ) টাকা বেশী নেন এবং একটি কূপন ধরিয়ে দেন। ব্যস্ততার কারণে তিনি প্রতিবাদ করেননি। এরূপভাবে সৈয়দপুর কাশিরাম ইউনিয়নের সাঈদ নামের ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি নীল সাগর ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে তাকে ৩টি কূপন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং অতিরিক্ত ৩০(ত্রিশ) টাকা বেশী নেওয়া হয়। এভাবে স্থানীয় বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ফোরকানীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নীল সাগর ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে তাকে ৩টি কুপন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন এর মোবাইল টেলিফোন ০১৭৫৩৮১৮০৭৬ নাম্বারে যোগাযোগ করে কাউন্টারে টিকিটের সঙ্গে কূপন দেওয়া হচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করেন এবং বলেন যে, কাউকে জোর করে কূপন দেওয়া হচ্ছে না। কেউ নিতে চাইলে তাকে দেওয়া হচ্ছে। কূপনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এটি শুধুমাত্র রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সদস্যের জন্য এবং স্থানীয় শ্রমিক লীগ অফিসে ২৯শে মার্চ এটি ড্র হবে বলে জানা যায়। এটি সরকারীভাবে কোন অনুমোদন প্রাপ্ত হয়নি কাজেই এটি কোন সরকারী কাউন্টার থেকে বিক্রি করা বেআইনী। স্থানীয় জনগণের মনে প্রশ্ন-তাহলে সৈয়দপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারটি কি স্থানীয় শ্রমিক লীগের কূপন কাউন্টারে পরিণত হয়েছে?