দাকোপে সন্দেহজনক মুক্তিযোদ্ধার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি
তাপস মহালদার : দূর্জয় মার্চ বাঙালী জাতির এক করুন ইতিহাস। এ মাসে মানুষ শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাইরে আসে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ করে বজ্রকন্ঠে, নিজেদের অস্তিত্ত্ব রক্ষার জন্য রক্ত দিতেও প্রস্তুত থাকে। লাখো মুক্তিযোদ্ধা জীবন দিয়ে, মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর এই স্বাধীন দেশের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাগণ পরাধীন কেন? এমনই দীর্ঘশ্বাস ফেলে দুঃখ প্রকাশ করেন- খুলনা জেলার দাকোপ থানার অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা (১) মৃণাল বিশ্বাস, যার গেজেট নং- ৪৮৯, (২) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, গেজেট নং- ৩৮৮৯, (৩) সত্যেন্দ্রনাথ মন্ডল, গেজেট নং- ৪৮৬, (৪) মুজিবর মিস্ত্রী, গেজেট নং- ৪৯১, (৫) মার্ক আশীষ রায়, গেজেট নং- ৫১১, (৬) আবুল গফুর গাজী, গেজেট নং- ৫০৯ প্রমুখ।
তারা বলেন দাকোপ থানায় সন্দেহজনক মুক্তিযোদ্ধাদের দৌরাত্ম্য ভীষণ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অমানবিক ও অনৈতিক অত্যাচারে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সুনাম সুখ্যাতি নষ্ট হচ্ছে। সরকারের দেয়া ভাতা, এল.জি.আর.ডি থেকে আসা ঘর, লাল বইয়ে নাম তোলার অজুহাতে, টিনের ঘর দেয়া, ঢাকা থেকে সার্টিফিকেট এনে দেবে, ডাটাবেজ করে দেবে, ভাতার টাকা পাশ করাবে ইত্যাদি অজুহাতে সর্বনি¤œ দুই হাজার টাকা থেকে যার কাছে যা ফলাতে পারে এভাবেই অর্থ কামাচ্ছে। এহেন কর্মকান্ড পক্ষান্তরে সরকারের সুনাম বৃদ্ধির অন্তরায় হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল বিশ্বাস, আব্দুল গফুর গাজী ও মার্ক আশীষ রায় সরকারের দায়িত্ববান সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যেন এর আশু প্রতিকার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে সরকার তথা জনগণের নজরে তুলে ধরা হয় প্রকৃত তথ্য। আগামীতে কমান্ডার মাওলাদ হোসেন, যার গেজেট নং- ৫৩৮ ও বিধান চন্দ্র রায়, যার গেজেট নং- ৫৪২ (২১ মে ২০০৫ইং) সহ সন্দেহজনক অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা কেমনে এবং কিভাবে হল? তা বিস্তারিত ভাবে চিত্রসহ প্রকাশ করা হবে।